Thursday, November 30, 2023

হেরে গিয়েছে মানবতা

গ্রামের লোকেরা অল্প জিনিস নিয়ে ঝগড়াঝাটি করে ভাবতাম সেগুলা মনে হয় জানাশোনা কম লেখাপড়া কম তাই ছোট জিনিস নিয়ে ঝগড়া করে আসলে তারা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিয়ে ঝগড়া করে যেমন বাড়ির সীমানা অথবা আবাদি জমির সীমানা নিয়ে অথবা আর্থিক কোন ছোটখাটো বিষয়ে অথবা নিজেদের যে কোন রকম বিশ্বাস নিয়ে হোক ধর্মীয় অথবা সমাজে সামাজিক বিষয় নিয়ে।

বর্তমান বিশ্ব ভু রাজনীতির প্রেক্ষাপট দেখে সে গ্রামের দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে আসে এতে কোন পার্থক্য নেই। আমরা শিক্ষিত হয়েছি কিন্তু বদলাতে পারিনি শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বার্থ আর ক্ষমতা হেরে গিয়েছে মানবতা। 

_____ আহমদ শরীফ

Monday, March 13, 2023

সময়, বিগ ব্যাং, হোয়াইট হোল এবং ব্ল্যাক হোল

 সময়:

সময় একমাত্র অস্তিত্ব যা কোন ধরনের শর্ত ছাড়া আমাদের প্রকৃতিতে অবস্থান করে এবং নিজেকে বৃদ্ধি করছে এবং করতে থাকবে| 

আমাদের মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সময়ের দ্বারা সৃষ্টি এটা বিগ ব্যাং এর আগে হোক অথবা পরে এটা ইউনিভার্স হোক অথবা মাল্টিভার্স সময় ব্যতীত কোনো ভাবে কোনো কিছুই সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় এবং যদি এটা ডাইমেনশন হয় যেকোনো ডাইমেনশনে আপনি অবস্থান করেন আপনার সময়ের পরিবর্তন হতেই হবে আর এই সময়ের পরিবর্তন না হলে কোনো কিছুরই পরিবর্তন আসবে না এবং কোনো কিছুর পরিবর্তন যদি না আসে কোন কিছুই সৃষ্টি হবে না| তাই বলা যায় সময় সবকিছু|

বিগ ব্যাং:

বিগ ব্যাং কোন সিঙ্গুলারিটি থেকে সংঘটিত হয়নি অথবা শূন্য থেকে সংঘটিত হয়নি পূর্বে ব্ল্যাকহোলের মত অসংখ্য ব্ল্যাকহোল চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিল এবং কোন একটা ব্ল্যাকহোলের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দুটি ব্ল্যাকহোলের সংঘর্ষের কারণে এই বিগ ব্যাং সংঘটিত হয়েছে| অবশ্যই এগুলা এক্সট্রিম সুপার্মাসিভ ছিল|

বিজ্ঞানীরা দুটি ব্ল্যাকহোল কে একসাথে যুক্ত হতে দেখেছে তাতে তো কোন মহা প্রলয় ঘটে নি এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, হোয়াইট হোল|

হোয়াইট হোল:

হোয়াইট হোল মূলত এন্টিম্যাটার ইউনিভার্সেল অবস্থান করছে ,এন্টিমেটার দিয়ে যে হোল টি তৈরি হয়েছে সেটা হচ্ছে হোয়াইট হল|


যখন সুপার্মাসিভ ব্লাক হোল ম্যাটার দিয়ে তৈরি এবং সুপার্মাসিভ হোয়াইট হোল এন্টিমেটার তৈরি দুইটাই একই সাথে মিলিত হচ্ছে তখন বিগ ব্যাং মতো বিশাল বিস্ফোরন ঘটছে|

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সাধারণত ব্ল্যাক হোল থেকে ব্ল্যাকহোলের কোন ম্যাটার ছিটকে পড়ে যাওয়া অসম্ভব কারণ ব্ল্যাক হোলের ভিতরে কোন ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্ভাবনা নেই এখানে মাধ্যাকর্ষণ এত বেশি শক্তিশালী যে এখানে কোন বস্তু পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার সমস্ত পার্টিকেল গুলো ভেঙে একদম ব্ল্যাকহোলের সাথে মিশে গিয়ে ব্ল্যাক হোল রূপ ধারণ করে এবং এই ভাবে ব্ল্যাকহোল তার আকার বৃদ্ধি করে |

এরকম শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এবং এরকম ঘনত্বের একটা বস্তুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে হলে একই রকম শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পন্ন একই রকম ঘনত্বের আরেকটি বিস্ফোরক পদার্থ প্রয়োজন আর সেটা হচ্ছে এন্টিমেটার ইউনিভার্সের হোয়াইট হল|

সুতরাং ব্ল্যাকহোল হল ম্যাটারের সর্বোচ্চ সংকোচন এবং হোয়াইট হল হল এন্টিম্যাটারের এর সর্বোচ্চ সংকোচন| 

ব্ল্যাকহোল যদি ইনফিনিটি সিঙ্গুলার পয়েন্টে অবস্থান করতো তাহলে ব্ল্যাকহোলের আকার ছোট বড় হতো না ইভেন্ট হরাইজন আমরা একই সমান দেখতাম|

ব্ল্যাকহোল মূলত ম্যাটারের সর্বোচ্চ সংকোচন যেখানে সাধারন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটা সম্ভব নয়| এবং মাধ্যাকর্ষণ তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শূন্যস্থান গুলি পূরণ করে দেয়| 

হোয়াইট হোল মূলত এন্টিমেটার এর সর্বোচ্চ সংকোচন যেখানে সাধারন রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটা সম্ভব নয়| এবং মাধ্যাকর্ষণ তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শূন্যস্থান গুলি পূরণ করে দেয়| 

আর এই শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পিওর এনার্জি বিস্ফোরণ করতে হবে আর  একমাত্র সম্ভব ম্যাটারের এবং এন্টিমেটারের সমান শক্তিসম্পন্ন সমান মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পন্ন সমান ঘনত্বের দুটি বস্তু| 

Sunday, May 3, 2020

তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম


ভালোবাসা রং বদলায়!

সুবর্ণা মুস্তফার সাথে একবার হুমায়ুন ফরিদীর প্রচণ্ড ঝগড়া হলো, রাগ করে সুবর্ণা অন্য রুমে গিয়ে দরজা আটকে শুয়ে পড়লেন।
সুবর্ণা সকালে উঠে দরজা খুলে দেখেন, যেই রুমে ঝগড়া হয়েছিল, সেই রুমের মেঝে থেকে ছাদের দেয়াল পর্যন্ত একটি কথাই লিখে পুরো রুমকে ভরে ফেলা হয়েছে, কথাটি হল- 'সুবর্ণা, আমি তোমাকে ভালোবাসি'|
এতো ভালোবাসাও তাদের বিচ্ছেদ ঠেকাতে পারেনি, ২০০৮ সালে ডিভোর্স হয়। কারণ ভালোবাসা রং বদলায়..!
জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন-
'প্রেম ধীরে মুছে যায়; নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়।'
এই জীবনানন্দকে একবার দেখেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে লাবণ্যপ্রভা। সাহিত্যের ছায়া থেকে একশ হাত দূরে থেকেও সাহিত্যের ইতিহাসে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র এই লাবণ্য।
সেও কিছুকাল পরে টের পায় তার স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে। মুক্তির জন্য ছটফট করতে থাকে। দুর্বিষহ হয়ে উঠে দুজনের জীবন। প্রেম সত্যি একসময় মুছে যায়।
গুলতেকিন নামের ক্লাস টেনের সেই কিশোরী হুমায়ুনের প্রেমে অন্ধ হয়ে বিয়ে করে ফেলে।
বিয়ের পরে সে জানতে পারে যে লেখক হুমায়ুন আহমেদ মানুষ হিসেবে খুবই সাধারণ। বাস্তব জীবনে সে চাঁদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে না, কবিতা আওড়ায় না। তার মধ্যে আলাদা কিছু নেই। সে আর দশটা মানুষের মতোই সাধারণ।
স্বপ্ন ভঙ্গের মতো ব্যাপার"
গুলতেকিন বারবার বলতে থাকে- 'তোমার লেখাই ভালো, অন্যকিছু ভালো না।'
আসলেই ভালোবাসা রং বদলায়!
নন্দিতা রায়ের 'বেলাশেষে' সিনেমায় এই কঠিন ব্যাপারটা খুব সহজভাবে বুঝানো হয়েছে-
'হাতের ওপর হাত রাখা খুব সহজ,
সারাজীবন বইতে পারা সহজ নয়!'
সহজ না হওয়ার কারণ ঐ একটাই-
'ভালোবাসা রং বদলায়' 🙃
আসলে প্রেম ভালবাসার সহজলভ্যতার এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বিরল দুটি জিনিস-
"মনের মানুষ" এবং "মানুষের মন"।
এই দু'টোর উপর বিশ্বাস থাকা ভাল এবং উচিতও বটে। তবে সেটা কেবলই নিজের মধ্যে। কখনোই এগুলো নিয়ে অতি আত্মবিশ্বাসী বড়াই দেখানোও উচিত নয়।
কারণ হাওয়ার দিক পরিবর্তন হয়ে কখন কোনদিকে বয়ে যায় সেটা সর্বদাই অনিশ্চিত। হোক সেটা প্রকৃতির হাওয়া অথবা মনের।
আসলেই ভালবাসা রং বদলায়।
collected form: Ferdous Tomal

ভালবাসা দিনের আলো

ভালবাসা দিনের আলোর মত সবার জন্য উন্মুক্ত,
সবাই সেই আলো উপভোগ করতে পারে।
তার জন্য প্রয়োজন ভালো একটা চোখ।
চোখ যত ভালো দিনের আলোর সব রং তেমনি ভালো করে উপভোগ করতে পারো।
জন্মান্ধ চোখ সে আলোর সমুদ্রে ডুবে থাকলেও আলোর দেখা পায় না।
একসময় তোমার ভালো একটা চোখ ছিল,
দিনের আলো ছিল ঝলমলে উজ্জ্বল।
কোন দুর্ঘটনায় হারিয়ে ফেললেছ সে অমূল্য সম্পদ,
এখন দিনের আলোয় ডুবে থাকলেও পাওনা আলোর দেখা পাওনা।

যোগ্যতা ভালবাসার চোখ,
যোগ্যতা থাকলে ভালোবাসার সব রং উপভোগ করা যায়।
না থাকলে ভালবাসার সমুদ্রে ডুবে থাকলেও ভালবাসার দেখা পাওয়া যায় না।
কোন এক ভুলে হারিয়েছ যোগ্যতা নামক সেই অমূল্য ধন,
 ভালোবাসায় ডুবে আছো নেই কেউ আপন।

Author: Ahmed Sharif

Thursday, April 30, 2020

শিক্ষা

ছোট্ট একটা ভুল জীবনের সমস্ত অর্জন কে মাটির সাথে  মিশিয়ে দিতে পারে, এবং নিজেকে  গভীর অন্ধকারে পতিত করতে পারে, শিক্ষাটাই আমার প্রচন্ড অভাব ভাবছিল।

Author: Ahmed Sharif

Wednesday, April 29, 2020

এনার্জি সেভিং মোটর তৈরীর পদ্ধতি : পরিবর্তন করা যেতে পারে ফ্রি এনার্জি ইঞ্জিনে।

চিত্র 1ঃ স্থায়ী চুম্বক আর্মেচার মোটর           চিত্র 2ঃ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক আর্মেচার মোটর

একটি সাধারণ মোটর এবং তার সাথে একটি স্থায়ী চুম্বকীয় মোটর ব্যবহার করে এনার্জি সেভিং মোটর উৎপাদন করা যেতে পারে।

প্রথম পদ্ধতি
================
এনার্জি সেভিং মোটর তৈরি করার পদ্ধতিঃ
এতে স্থায়ী চুম্বকের আর্মেচারের বিকর্ষণ এবং মোটর এর আর্মেচারের আকর্ষণ সমান হতে হবে। অর্থাৎ যদি স্থায়ী চুম্বকীয় মোটরের আর্মেচারের  A অংশের বিকর্ষণ হয় ১নিউটন তবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মোটরের A অংশের আকর্ষণ হবে ১ নিউটন।
স্থায়ী চুম্বকীয় আর্মেচারের বিকর্ষণ এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক চুম্বকের আকর্ষণ সমান হওয়ার কারণে এদের আকর্ষণ বিকর্ষণ সমান শূন্য হবে। 
স্থায়ী  চুম্বকীয় আর্মেচার বিকর্ষণ = ১নিউটন  এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক চুম্বকের আকর্ষণ = ১নিউটন
১-১= ০।
 যার ফলে যন্ত্রের আর্মেচার কি মুক্তভাবে ঘুরতে সক্ষম।

চিত্র নং 3 সংযুক্ত মোটর মডেল

মোটর দুটিকে এভাবে সংযুক্ত করে একটি মোটরে রূপান্তর করতে হবে। 
শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সংযুক্ত থাকবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মোটরের সাথে। যখন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক মোটরের A অংশটুকু বিদ্যুৎ গ্রহণ করে বিকর্ষণ এ রুপান্তর হবে, তখন স্থায়ী চুম্বক মোটরের A অংশটুকু একই সাথে চাপ প্রয়োগ করবে। 
 ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এক নিউটন সমান বল প্রযুক্ত হবে এবং স্থায়ী চুম্বক থেকে প্রাকৃতিক ভাবে আরো এক নিউটন বল অতিরিক্ত প্রয়োগ। 
স্থায়ী  চুম্বকীয় আর্মেচার বিকর্ষণ = ১নিউটন  এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক চুম্বকের বিকর্ষণ = ১নিউটন
১-১= ২।

এই প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে চল্লিশ 40%  বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতি
================
যদি কোন কারনে উপরের প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হয় তাহলে নিচের দ্বিতীয় কে আছে দ্বিতীয় পদ্ধতি পদ্ধতি কি কাজ করবে।

চিত্র নং 4: এভাবে একটি মোটর কে দুই ভাগ করে তৈরি করতে হবে

এভাবে উপরে মোটরটি কে দু ভাগে ভাগ করে তৈরি করলে উপরের পদ্ধতিতে যদি কোন যান্ত্রিক ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে সেটা দূর হয়ে যাবে। এ পদ্ধতিতে E পয়েন্ট থেকে এনার্জি সংগ্রহ করা যেতে পারে।
E পয়েন্ট এ বেল্ট  এর পরিবর্তে চেইন ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা পিনিয়ন ব্যবহার করা যেতে পারে। বেল্ট   ব্যবহার করা যাবে না।

এই যন্ত্রটি কে ফ্রী এনার্জি ইঞ্জিনে রূপান্তর করার পদ্ধতি:
=============

যদি কোনভাবে খরচ করা শক্তি থেকে 20% বেশি শক্তি উৎপাদন করা যায় তবে এটাকে নিজের অংক অনুসারে ফ্রি এনার্জি ইঞ্জিনিয়ার রূপান্তর করা যাবে। এখানে একটি সেটের দুটি চিত্র ভিন্ন ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

মনে করি প্রথম সেটে: বিদ্যুৎ খরচ=  100v  বিদ্যুৎ উৎপাদন = 120v

এভাবে একের পর এক নতুন সেট তৈরি করে প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা যায়। নিচে 20 বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখান হল চিত্রের মাধ্যমে।

Author: Ahmed Sharif